কক্সবংলা ডটকম :: বিপিএলে লিগপর্বে উড়তে রংপুর রাইডার্স ব্যর্থ হয়েছে প্লে-অফে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারার পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাকিব-সোহানরা। ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে আসর থেকে।
মুশফিক ও কাইল মায়ার্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের সহজ জয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে তামিমের দল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ে টসে জিতে রংপুরকে ব্যাটে আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে তিস্তাপাড়ের দলটি। জবাবে ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বরিশাল
সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মত ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পঞ্চম শিরোপার লক্ষ্যে বরিশালের মুখোমুখি হবে তারা। অন্যদিকে তিন নামে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা স্পর্শ করা হয়নি বরিশালের। নিজেদের প্রথম শিরোপার লক্ষ্যে নামবে তারা।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় শিরোপার মহারণে নামবে দুদল।
রানতাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। দুই ওপেনার তামিম ও মিরাজ ফিরে যান দলকে হতাশ করে। ২২ রানে দুই ব্যাটারকে হারানোর পর সৌম্যকে নিয়ে হাল ধরেন মুশফিক। ১৮ বলে ২২ রান করে ফিরে যান সৌম্য।
পাঁচে নামা মায়ার্স ঝড় তোলেন রংপুরের বোলারদের বিপক্ষে। তিন ছক্কা ও এক চারে ১৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি। পরে মিলারকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মুশি। ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন মুশফিক। একটি ছক্কা ও দুটি চারে ১৮ বলে ২২ রান করেন ডেভিড মিলার।
রংপুরের হয়ে আবু হায়দার রনি দুটি এবং মোহাম্মদ নবী ও ফজলহক ফারুকী একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে রংপুরকে ব্যাটে পাঠিয়ে নিজের প্রথম ওভারে মেহেদী ও সাকিবকে আউট করে শুরুতেই চেপে ধরেন মোহাম্মদ সাউফউদ্দিন। কাইল মেয়ার্স ফেরান রনিকে। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসায় ফায়দা তুলতে পারেনি রংপুর। ক্যারিবিয়ান তারকা পুরানকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। নিশামকে আউট করে প্রথম সাফল্য পান জেমস ফুলার। পঞ্চাশের আগেই রংপুর হারায় ৫ উইকেট।
শুরুর ৫ ব্যাটারের মধ্যে জিমি নিশামই কেবল দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন। ইনফর্ম কিউই ব্যাটার ২২ বলে ২৮ রান করেন ৫টি চারের সাহাজ্যে। শেখ মেহেদী (২), সাকিব আল হাসান (১), রনি তালুকদার (৮), নিকোলাস পুরান (৩) সিঙ্গেল ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন।
এরপর ফুলার জোড়া শিকারের দেখা পান ইনিংসের ১৫তম ওভারে। মোহাম্মদ নবী (১২) ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে (১৪) ফিরিয়ে দেন দ্রুতই। ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রংপুরের পরিস্থিতি হয়েছিল এমন যে, একশ রানের দেখা পাওয়াও মনে হচ্ছিল বড্ড কঠিন।
শেষ স্বীকৃত ব্যাটার কেবল শামীম হোসেন পাটোয়ারী। এই তরুণের একার লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স। ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা ২৪ বলে ৫৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। ৫টি করে চার ও ছয়ের মার ছিল তার ইনিংসে। ৯ বলে এক ছক্কায় ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে শামীমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আবু হায়দার। অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা যোগ করেন ৭২ রান। দুজন মিলে মোকাবেলা করেন ৩১ বল।
বরিশালের হয়ে ফুলার তিনটি, সাইফউদ্দীন দুটি এবং মায়ার্স ও মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
Posted ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta